হিজরী সনের তথা আরবি মাসের বা সনের ইতিহাস:
সম্পাদক :
এক আদমের সৃষ্টি সকল মানুষ। এটা সকল ধর্মের ধর্মযাজক গণ এক বাক্যে বিশ্বাস করে এবং বলে। পৃথিবী সৃষ্টি পর কালের পরক্রমায় মানব জাতী বিভিন্ন ধর্ম- গোত্র বিভক্ত হয়। অচঞ্চল বেদে ধর্ম প্রচারকের কারণে ধর্মী দেশ,ও নগরী তে রুপধান করে।
তাই মুসলমানদের ধর্ম ইসলাম। আর ইসলাম ধর্মে মৌলিক ঈমান বা বিশ্বাস হলো সৃষ্টি কর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা তথা সব কিছুর মালিক আল্লাহ। আর সেই আল্লাহর মনোনিত বা নির্ধারিত ধর্ম হলো ইসলাম। আর সেই আল্লাহ যুগে যুগে নবী, রাসূল বা মেসেঞ্জার বা বার্তবাহক হিসাবে পাঠিয়েছেন। আর ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণতার রুপ দেন মহান আল্লাহ তার প্রিয় হাবিব তথা সর্ব শেষ নবী – হযরত মুহাম্মাদ স: কে মেসেঞ্জার বা বার্তাবাহক হিসাবে।
আর সেই ইসলাম ধর্মের নবী স: কি নিয়ে ইসলামের সকল কিছু। তারি ধারাবাহিকতায় আরবি সন বা হিজরী সন যেহেতু মুসলমানদের ধর্মীয় ভাষা আরবি। তাই মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের আরবি সনেরও ইতিহাস মুসলমানদের প্রিয়ে নবী তথা মেসেঞ্জার বা নেতার ইতিহাসকে ঘিরে।
হিজরি সনের হিজরী শব্দটি আরবি শব্দ। হিজরত থেকে এসেছে। হিজরত মানে স্হান ত্যাগ করা। যেহেতু মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মাদ স: মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেও ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে অত্যাচারীত,নির্যাতিত হন। পরবর্তীতে আল্লাহর নির্দেশের মক্কা নগরী ত্যাগ করে মদীনায় হিজরত করেন। আর সেই হিজরতে দিন স্বরনীয় করে রাখতেই ৬২২ খ্রীস্টাব্দ থেকেই হিজরী সনের গণা শুরু হয়।
ইসলামের দ্বিতীয় ঝামেলা খলিফ হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রঃ শাসন আমল থেকেই আরবি চন্দ্রমাসের যাত্রা শুরু করেন। মুসলমানদের যেহেতু চন্দ্র মাসকে কেন্দ্র করে অনেক ইবাদত বন্দেগী আছে। তারি প্রয়োজনে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় উসরর,যাকাত তথা রাষ্ট্রিয় কর আদায়ের হিসাবে হিজরী সনের প্রবর্তন করেন।
আজ অনেকে মুসলমান হয়েও বলতে পারেনা – ১৪৪৭ হিজরী তথা আরবি সন চলিতেছে আর মাস তো দূরের কথা। আজ ৮ তারিখ মহররম মাসের। অনেকে আবার আশুরা বলতে পারে। আরবি বা চন্দ্র বা হিজরী ১২ মাসের নাম জানে না মুসলিম দাবী করে নিজেকে।
যদিও কিছু সংখ্যক ঈমানদার বা কাঠি মুসলিম আছে – যারা নিজ নিজ ধর্মীয় কাজ সম্পর্কিত বিষয়ে জ্ঞাত। কুরআনে মহান আল্লাহ তায়া’লা বলে– ইয়া আইয়ু হাল লাজি না আ-মানু উদখুলু ফিস সিলমে কায়াফ ফা — তথা তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করো। সূরা আল-বাকারা ২:২৮৬।
মাওলানা মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন
কামিল(হাদিস)