সম্পাদক :
ইয়াওমে আশুরা তথা আশুরার দিনের নাম আসলে সবার শুধু কারবালা কারবাল বলে জীবন শেষ করে দেয়। জানে না ইসলামের ইতিহাসে আশুরার সাথে আমাদে আদি পিতা হযরত আদম আ: সহ আরো কিছু নবী-রাসূলদের ঘটনাও সম্পর্ক রয়েছে, বলে আশুরা দিনে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম ওম্মার জন্য।
আবরি মাস বা হিজরী সন বা চন্দ্র বর্ষের প্রথম মাসে নাম হলো মুহাররম মাস। আর এ মুহাররম মাসের ১০ তারিখই হলো ইয়াওমে আশুরা বা আশুরার দিন।
আমার ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মাঝে আশুরা মানে কারবাল ঘটনা তথা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন রা: ঘটনাকে আলোচনা করা হয় এবং জানেও থাকেন সাধারণ মুসলমানরা।
কারবালার ঘটনা তো আছেই। কিন্তু তার আগে তথা পৃথিবী সৃষ্টি থেকেই মুহাররম মাসের গুরুত্ব অনেক এবং ঘটনাও ঘটেছে।
আশুরার দিনের অনান্য ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সমূহ তুলে ধরা হলো :
১. আশুরার দিনে আল্লাহ তায়া’লা “”পৃথিবী সৃষ্টি “” করেন।
১.ক. পৃথিবীর সাথে আশমান, জমিন, পর্বতরাজি,মহাকাশ, ফিরিস্তাসকল, লওহে-মাহফুজ,সৃষ্টি করেন ওই দিনে।
১্খ. আবার ওই দিনেই কিয়ামত তথা মহাপ্রলয় হবে।
২. প্রথম মহা মনব আদি পিতা হযরত আদম আ: কেও জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠান মহান আল্লাহ তায়া’লা।
২. ক. আদম আ: এর দোয়া কবুল করেন ওই দিনে।
২.খ. ওই দিনে আদম আ: ও হাওয়া আ: (তার স্ত্রী) দু’জনকে আরাফার ময়দানে মিলিত করান মাহান রব।
৩. আশুরা দিনে হযরত নূহ আ: দোয়ার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ প্লবনে কিশতি বা নৌকায় অবস্থান শেষে আবার মুহাররমের ১০ তারিখে পৃথিবীতে নেমে আসেন।
৪. মুসলিম জাতীর পিতা তথা মিল্লাতে আবি – হযরত ইব্রাহিম আ: কে পরীক্ষা দিতে আগুনে নিক্ষিপ্ত হন। এবং দীর্ঘ ৪০ দিন আগুনে থেকে পরীক্ষায় পাশ করে মুক্তি ১০ মুহাররম তথা আশুরার দিন মুক্তি লাভ করেন।
৫.হযরত আইয়ুব আ: কে কঠিন দূরারোগ তথা কুষ্ঠ রোগে ১৮ বছর পরীক্ষায় পাশ করেন এবং ওই দিন সুস্থ্যতা দানে মুক্তি দেন মহান আল্লাহ।
৬.হযরত ইউসূফ আ: অনেক ঘটনার ৪০ বছর পর মুহাররমের ১০ তারিখ তারি পিতা হযরত ইয়াকুব আ: সাথে সাক্ষাৎ লাভ করান মান আল্লাহ।
৭.আরেক নবী হযরত ইউনূস আ: ৪০দিন মাছের পেটে থেকে হতাশ না হয়ে মহান রব-এ তাসবিহ পড়ে ১০ মুহাররম মুক্তি দান করেন আল্লাহ।
৮.হযরত মুসা আ: ওই দিন লীন নদ আল্লাহর হুকমে পার হয়ে নিরাপদে চলে যান। আর বিপরীত পক্ষে অত্যাচারী ফেরউন তার দল সহ পানিতে ডুবে মরেন।
৯.মুসলিম জাতীর আরেক নবী হযরত ঈসা আ: ( রুহুল্লাহ) কে হত্যার চেষ্টা করলে – মহান আল্লাহ পাক ১০ মুহাররমের দিনেই আসমানে ওঠিয়ে নিয়ে সেইভ করেন।
১০. সর্ব শেষ ঘটনা হলো কারবালার ঘটনা।
হিজরী ৬১ সনের ১০ মুহাররম মাসে মুসলিমদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ স: এর দৌহিত্র ইমামা হোসান রা: এবং তার সঙ্গীদের ইয়াজিদ বাহিনীর শহীদ করেন পুরাত নদীর তীরবর্তী কারবালা নামক স্হানে।
এতএব ১০ মুহাররমের দিন ইয়াওমে আশুরা তথা আশুরার দিন শুধু কারবালার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আছে ইসলামের ইতিহসসে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী। তাই আশুরার দিন মুসলমানদের ধর্মীয় অনেক কিছু স্মরণ করিয়ে দিতে আসে।
× × × বর্জনীয়: তাজিয়া নয়! নয় নিজের বডিতে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত।
** মাটা শোক প্রকাশে রেলী করার কথা অনেক ইসলামী স্কলাররা মত দেন। তবে, না করাই ভালো বলেন ওলামারা।
*** শোক হিসাবে নফল রোজার রাখার নির্দেশ আছে হাদিস।
বিস্তারিত বিষয়ে আরো ভালো, বড় আলেম ও ওলামাদের কাছ থেকে জেনে নেয়া ভালে। তবে সতর্কতা অবলম্বন হিসানে খেয়াল রাখতে হবে যে– কোন নফল ইবাদত করতে গিয়ে যে বিদয়াতে অন্তর্ভুক্ত না হয়। শত শত ফরজ-ওয়াজিবের ব্যপারে বে-খায়াল বা উদাসীন। ###
মাওলানা মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন
কামিল (হাদিস)