প্রতিবেদন:
চোখে পর্দাও আল্লাহর ওয়ার্ডার।
ওয়ার্ডার বললে ভয় হয়। হাই কোর্টরে 144 ওয়ার্ড, ওর্ডিন্যান্স বললে অনেক টা ভয় হয়।। আল্লাহ কুরআনে বলছেন, আল্লার হুকুম, আদেশ ইত্যাদি শুনতে শনতে কিছু মনে হয় না মুনাফিক মার্কা বা আইডি কার্ডে নামে মুসমানে। কারণ আল্লাহ তো তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন।
সাধারণত মুসলমানরা মনে করে শুধু ইসলামের ভিত্তি ৫টি তথা কালিমা,নামাজ,রোজা,হজ্জ্ব,যাকাত প্রভৃতি। অনেকে আবার বলে- নামাজ পড়লেই জান্নাত। কেহ বা বলে নামাজ না পড়লেও ঈমান ঠিক আছে।( নাউজুবিল্লাহ) কত জনে কত কি বলে! ইসলামের সঠিক জ্ঞানের অভাবে।
আবার ইসলাম সম্পর্কে অল্প জ্ঞান থাকলেও আবার মাসলা দিয়ে দেয়। আলেম বা ইসলামিক স্কলার, মুফতি না হয়েও অনেক কিছু বলে দিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করে।
যাক, এর পরেও কিছু আলেম,ইমামও আছে যারা সল্প শিক্ষিত বা পুরাপোড়ি জ্ঞানী না হয়েও ইমামতি করছে। দিতে পারছেনা সঠিক ব্যাখ্যা। আবার অনেক ইমাম সাহেব চাকরি চলে যাবার ভয়ে হক্ব কথা মিম্বারে বসে বলতে পারে না।
মূল বিষয় হলো চোখের পর্দা : সূরা নূরের ৩০-৩১ আয়াতে আল্লাহ বলে---
হে নবী! মুমিন পুরুষদের কে বলে দিন, তারা যেন তাদের চোখ কে হেফাজত করে তথা অপর স্ত্রী লোকদের প্রতি দৃষ্টি ফিরয়ে রাখে এবং নিজের লজ্জাস্হানও হিফাজত রাখে তথা খারাপ যৌনাচার হতে নিজেকে রক্ষা করে। এটা তাদের জন্য উত্তম পন্হা। আর তারা যা কিছু করে তার খবর রাখেন। --সূরা নূর ৩০।
হে মবী! আপনি মুমিনাত তথা মুমিন নারীদের বলে দিন, তারও যেন তাদের চোখকে অবনত রাখে অপর পুরুষ হতে
এবং লজ্জাস্হানেরও রক্ষণাবেক্ষণ করে।-- সূরা নূর- ৩১।
সরল বঙ্গানুবাদে প্রতিয় মান হয় শুধু পুরুষ নয়। সকল কে নিজ নিজ চোখ ও লজ্জাস্হান হিফাজত করতে নবী স: কে আদেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহর আদেশ আর নবী কে আদেশ মানে ফরজে আইন। তফসিরে পড়ে নিয়েন।
হাদিস আছে অনেক। ২# সহিহ বুখারী ও মুসলিম শরীফের একট
হাদিস ---নবী করিম সঃ বলেন- যে ব্যাক্তি দুই চোয়ালের মধ্যের স্হান ও দুই উরোর মধ্যের স্হান তথা মুখ ও লজ্জাস্হান হিফাজত করলো। তার বেহেশতের জামিনদার আমি নিজে তথা রাসূল সঃ সাথে নিয়ে বেহেশতে প্রবেশ করবেন বা নিবেন। -- মুত্তাফাক্কুন আলাইহি।
২# হে আলী! প্রথম দৃষ্টির পর দ্নিতীয় দৃষ্টি নিক্ষেপ করো না। প্রথম টি ক্ষমা যোগ্য, কিন্তু দ্বিতীয়টি নয়-- আবু দাউদ।
এতএব সর্ট মেসেজ হলো-- আল্লাহ তার রাসূল সঃ কে ওর্ডার দেন। কাদের বলতে- সকল নর-নারীদের জন্য আল্লাহর হাই কোর্টর ওরডার/ওর্ডিন্যান্স!! কি ওর্ডিন্যান্স?
ডাইরেক্ট ওর্ডার / ওর্ডিন্যান্স -- চোখ নিচু করা বা দৃষ্টি নিক্ষেপ না কারা।
আর আমরা নামাজি, হাজী,গাজী,কাজী,কত কি? লম্বা তাসবিহ! আফসোস! জাহান্নামী!! জাহান্নামী!! জাহানৃনামী!!.
কেহ কুরআনের ১টা আয়াত তথা আল্লাহর ১টা ওয়ার্ড ভায়লেট করলে।। ঈমান থাকবে না। ফাসিক,কাফির, জালিম কত কি হবে!
তাই আজ থেকে চিন্তা করেন -- খাঠি ঈমসনদার, মুমিন, জান্নাতী হতে হলে আল্লাহর এভরি ওয়ার্ড বা প্রত্যেকটা আদেশ পালন করতে হবে---
" উদখুলু ফিস সিলমি কায়া-ফ ফা"" তথা তোমারা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো। সূরা আল বাকারা ১১০।
আবার আল্লাহর ওয়ার্নিং --
ওয়ালা তামু - তুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন--তথা আর তোমরা কাঠি মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরন করো না। -- সূরা আল ইমরান- ১০২।
*** লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে আল্লাহ বলেন--
তোমরা আমার কাছে আসার আগে আমার( আল্লাহর) সব ওয়ার্ড মেনে বা জীবনে বাস্তব প্রয়োগ করে আমার কাছে হাজির হইয়ো। নইলে খবর আছে। এতএব চোখ ও লজ্জাস্হান ঠিক করে আল্লাহর কাছে যেতে হবে।।
হাফিজু আলা-ল্লাহু হিফাজাতান।
@@@.
মাওলানা মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন
কামিল( হাদিস)।