স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্বাধীন হলো ৫৪ বছর হলো। কোন দিন শুনিনি হজ্জ্ব শেষে টাকা ফেরত পেয়েছে। নিউজ পড়ি --ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান,ও আফগানিস্তানের হাজীরা হজ্জ্ব করে এসে এত টাকা ফেরত পাবে বা পেয়েছে।
এবার সত্যি সত্যি বাংলাদেশের হাজীরাও টাকা ফেরত পাবে। বলে ঘোষনা দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আমি আমার ছোট চাচা হাজী আব্দুলস সাত্তার মাস্টার কে ফেব্রুয়ারিতে হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলা। চাচা বলেন- ১০৬৭ তে পাকিস্তান আমলে জাহাজে ১৮ হাজার পাকিস্তানি মুদ্রায় হজ্জ করেন এবং হজ্জ শেষে ১৫০০ ফেরত পায়।
এটাই পাকিস্তান সরকারের কথা। আমার বাবা, নানা,দাদা র হজ্জের বিষয়ে তথ্য দিতে পারিনি। কারণ ছোট সময়েই তারা মারা যান।।
আমি ৮ টা দেশ ঘুরছি। তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া সফরে ইসলামিক কালচা জানতে গিয়ে জানেতে পায়।
ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানদের বিবাহ করতে হলে ওমরা অথবা হজ্জ করতে হয়। অর্থাৎ মিনিমাম ওমরা,বা হজ্জ ছাড়া কোন মুডলমান বিবাহ করতে পারবে না। মজার বিষয় হলো তা হলে গরিবরা কিভাবে বিবাহ করবে? ইন্দোনেশিয়া সরকার হজ্জ,ওমার জন্য ভর্তূকি দেয়। নামে মাত্র ফ্লাইট ভাড়া নেয়। ধরুন ১০ হাজার টাকা। আর সৌদি সরকারের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় বাড়ি ভাড়াও কমিয়ে নেয়া হয়। কোটা সবচেয়ে বেশী থাকে। তাই ইন্দোনেশিয়া হজ্জ,ওমরার পেকেজ খুবি কম। আর কারো আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলে সরকার সহ বেসরকারি বিভিন্ন ইসলামিক সংস্থা সহযোগীতা করে। যাতে ওমরা, হজ্জের সার্টিফিকেট নিয়ে ঈমানকে পরিপূর্ণ করে বিবাহ করতে পারে।
এই প্রথম নজির স্হাপন করেছেন শুধু ইসলামী মূল্যবোধের উপদেষ্টা বল। তথা ঈমানদার বলে। আল্লাহ কে ভয় করেন বলে। তিনি বলেন- আমার মন্ত্রালয় থেকে একটাকা খাওয়া
সুযোগ পাবে না। বিগত সরকারে লোকেরা ও এজেন্সির লোকেরা হজ্জ থেকে টাকার ভাগ নিয়ে। হারাম খেয়েছে। হজ্জ্ব নিয়েও ব্যবসা করছে।
গত ২০২৫ সালে হজ্জ্ব থেকে বেঁচে গেছে ৮কোটি ২৮ লক্ষ ৯০ হাজার ১ শত ৮৩ টাকা। এ টাকা সকল হাজীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হবে। তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ একাউন্টে চলে যাবে। ইনশাআল্লাহ।
আর আগামী ২০২৬ সালের হজ্জ পেকেজ কমি আনার চেষ্টা চলছে। চলতি মাসের নভেম্বরে মিটিং, কনভেনশনে ঠিক কার হব। আশ রাখি সব কমে আসবে।
###